পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের ভূমিকা
নৈসর্গিক সমতা রক্ষায় বৃক্ষরাজির অপরিসীম গুরুত্ব
গাছপালা এবং প্রাণিকুলের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতায় উভয়ের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। বিশ্বসৃষ্টির আদিকালের প্রাণজগতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সৃষ্টিকর্তা বৃক্ষরাজির বৈচিত্র্যময় সমাহার ঘটিয়েছেন। একই নিগূঢ় বন্ধনে আবদ্ধ থেকে প্রাণীকুল এবং উদ্ভিদরাজি পরস্পরের অভাবে অচল হয়ে পড়বে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মানুষ প্রায়শই নিজেদের এবং অন্যান্য প্রাণীকুলের ধ্বংসের দিকে পথ প্রশস্ত করছে নিরঙ্কুশভাবে বৃক্ষচ্ছেদন করে।
পরিবেশের ভারসাম্যে বৃক্ষরাজির অতুলনীয় অবদান
বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের সমতল সমাবেশ বজায় রাখতে বৃক্ষরাজি অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। বাতাসে কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়, কারণ এই গ্যাস তাপ শোষণ করে রাখে। বর্তমানে গ্রিনহাউস ইফেক্ট নামে এটি সুপরিচিত।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষের প্রভাব
ভূমিক্ষয় রোধে বৃক্ষের প্রভাব
জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রেও বৃক্ষরাজি অপরিহার্য। অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর খাদ্য এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা বৃক্ষরাজি করে থাকে। মানুষ খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি, গৃহনির্মাণসামগ্রী প্রভৃতি বৃক্ষ থেকেই পায়। অন্যদিকে, বৃক্ষরাজি পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে মানুষের মনে আনন্দ দান করে।
পরিবেশ সংরক্ষণে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব
বর্তমানে আমরা যে পরিবেশ সঙ্কটের মুখোমুখি, তার জন্য মানুষই দায়ী। এই সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য প্রত্যেককেই কিছু করণীয় আছে। নগরায়ন, শিল্পায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন প্রভৃতি কারণে পরিবেশ সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে শিল্পায়ন ও নগরায়নের গতিপ্রক্রিয়া স্থবির করা বা হ্রাস করা সম্ভব নয়। সুতরাং উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করতে হবে।
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ
এক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধিতে প্রত্যেক মানুষই কিছু অবদান রাখতে পারে। প্রতিবছর বৃক্ষরোপণের মৌসুমে বাড়ির আশেপাশে বা খালি জায়গায় সাধ্যমত গাছ লাগানো উচিত। তাহলেই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং আমাদের জীবন ও স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url